| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক ইউরোপ গণতন্ত্র এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে : জো বাইডেন


গণতন্ত্র এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে : জো বাইডেন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     19 September, 2023     09:51 AM    


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, অনেক লোক আমার বয়সের দিকে মনোযোগী বলে মনে হচ্ছে। ভালো, আমি এটা বুঝতে পারি। বিশ্বাস করুন, আমার বয়সের বিষয়টা আমি যে কারও চেয়ে ভালো জানি। আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব কারণ গণতন্ত্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে কোনও প্রশ্নই থাকা উচিত নয় যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার এমএজিএ (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) রিপাবলিকানরা আমেরিকান গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর। এবং আমি সর্বদা আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করব, সমুন্নত রাখব এবং (গণতন্ত্রের জন্য) লড়াই করব। আমি পুতিনের মতো স্বৈরশাসকের পাশে থাকব না। হয়তো ট্রাম্প এবং তার এমএজিএ বন্ধুরা মাথা নত করতে পারে, কিন্তু আমি করব না।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিজের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের জন্য নিউইয়র্কে তহবিল সংগ্রহের সময় তিনি এসব কথা বলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে আবারও নির্বাচনের লড়াইয়ে নামার কথা বহু আগে থেকেই বলে আসছেন জো বাইডেনও। ২০২০ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পরাজিত করেছিলেন বাইডেন। তবে অতীতের সেই পরাজয়ের পরও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের দৌড়ে থাকা রিপাবলিকান পার্টির অন্য নেতাদের চেয়ে এবার জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। আর তাই সামনের বছরের নির্বাচনে বাইডেন এবং ট্রাম্প ফের মুখোমুখি হতে পারেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্ব নেতাদের সাথে বৈঠকের জন্য নিউইয়র্ক সফর করার সময় তার পুনঃনির্বাচনের প্রচারণার জন্য নগদ অর্থ সংগ্রহ করছেন এবং সোমবার সেখানেই তার বয়স সম্পর্কে উদ্বেগও স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র এখনও ঝুঁকির মধ্যে থাকায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখতে নেতাদের চাপ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেও বিশ্বকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছেন মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট।